Detailed Notes on সমাস কাকে বলে
Detailed Notes on সমাস কাকে বলে
Blog Article
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসঃ কর্মধারয় সমাসে কোন কোন স্থানে মধ্যপদের লোপ হয়। সেজন্যেই একে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যথাঃ হিমালয় নামক পবর্ত = হিমালয়পবর্ত। এখানে ‘নামক’ মধ্যপদের লোপ হয়েছে।
অব্যয় পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং যাতে পূর্ব পদের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমনঃ আত্মাকে অধি (অধিকার করিয়া) = অধ্যাত্ম।
সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়,তে) লোপ পায়। যেমন- রঙ্গে ভরা more info = রঙ্গভরা, পূর্বে, পূর্বে ভূত = ভূতপূর্ব, পূর্বে অদৃষ্ট = অদৃষ্টপূর্ব।
** পূর্বপদ যদি বিশেষণ হয় , তবে তা সহার্থক বহুব্রীহি হয় না
দ্বিতীয়াদি বিভক্তান্ত পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। এতে উত্তরপদের অর্থ প্রধানভাবে থাকে। যেমনঃ লবণ দ্বারা অক্ত (যুক্ত) = লবণাক্ত।
পূর্বপদ ও পরপদ : সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ-কে পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশ-কে উত্তরপদ বা পরপদ বলে।
অনুবাদ অব্যয় পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং যাতে পূর্ব পদের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। এই সমাসকে বর্তমানে উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: আত্মাকে অধি (অধিকার করিয়া) = অধ্যাত্ম।
নিপাতনে সিদ্ধ : অন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ, দু দিকে অপ যার = দ্বীপ, নরাকারের পশু যে = নরপশু, জীবিত থেকেও যে মৃত = জীবন্মৃত, ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ বিসিএস বাংলা ব্যাকরণ প্রস্তুতি
সমাসবাক্য/ব্যাসবাক্য/বিগ্রহবাক্য : সমস্ত পদকে ভেঙে যে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম সমাসবাক্য, ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য। যেমন- মুখ চন্দ্রের ন্যায় = মুখচন্দ্র। এখানে ‘মুখ চন্দ্রের ন্যায়’ হল ব্যাসবাক্য বা সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।
** উত্তরপদের প্রথমবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ হলে ‘নঞ’ স্থানে ‘অ’ হয়
স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল= স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল।
⇒ সমাসের সম্পর্কিত কয়েকটি সংজ্ঞা বা টার্মস-
সংস্কৃতে সমাসের ব্যবহার তার পিতৃভাষা প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। এখান থেকেই বাংলা ভাষায় সমাসের ব্যবহার এসেছে। ভাষাটির পরবর্তী পর্যায়ে সমাসের এই বিকাশ সম্পূর্ণরূপে কৃত্রিম, সাহিত্যিক প্রয়োজনে এবং কথ্য ভাষায় প্রতিফলিত হয় না।[৮][৯]
Report this page